ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী মানিকগঞ্জ জেলার এক অমর কৃতী সন্তান। তাঁর জন্ম ১৯২৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী শিবালয় থানার এলাচিপুর গ্রামে। তাঁর পিতা আব্দুল মতিন চৌধুরী, মা হাসিনা চৌধুরী । তিনি আরুয়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে নানার বাড়ীতে থেকে মালুচী উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ১৯৫০ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সামরিক অফিসার। ১৯৫০-৬২ সময়ে ১ম পাঞ্জাব রেজিমেন্টে এডজুট্যান্ট ও কোয়ার্টার মাস্টার, চতুর্দশ ডিভিশনের জিওসি’র এডিসি এবং তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ইউ-ও-টি-সি ব্যাটালিয়ানের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি ১৯৬২ সালে ক্যাপ্টেন হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৫ই এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। মন্ত্রী হিসাবে সর্বশেষে তিনি কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি দান করে। ২৫ তারিখ দিবাগত রাত্রে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে মানিকগঞ্জ জেলার স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির সমন্বয়ে সাত সদস্যের একটি কমান্ড কাউন্সিল গঠন করা হয়। ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরীকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি ছিলেন অসীম সাহসী। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি ২২টি থানার সমন্বয়ে গঠিত ঢাকা সদর ও গাজীপুরে এরিয়া কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের এই মহান বীর সেনানী ১৯৮৭ সালের ৭ই অক্টোবর পরলোক গমন করেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস